অনেকেই বলে থাকেন, জন্ম, মৃত্যু এবং বিয়ে এই তিন বিষয় নিয়েই জীবন গঠিত। আবার অনেকেই বিয়ে করেন সুখে-শান্তিতে জীবনযাপন করতে। সম্প্রতি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষা জানাচ্ছে যে, একটি নির্দিষ্ট বয়সে বিয়ে করলে নাকি ছেলেদের আয়ু বাড়ে!
তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে, বিয়ের সঙ্গে আবার আয়ু বাড়ার সম্পর্ক কী? বিশেষজ্ঞদের মতে, দাম্পত্য জীবন দীর্ঘস্থায়ী করতে নারীদের ২৫ ও পুরুষের ৩০ বছরের মধ্যেই বিয়ে করে নেয়া জরুরি।
তবে বিয়ের আগে অবশ্যই আর্থিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। এই সমীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৪৫ জন মার্কিন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ।
এতে দেখা যায়, সুখী বিবাহিত পুরুষের আয়ু অনেকটাই বেশি। সমীক্ষায় দেখা গেছে, অনেক পুরুষের বিয়ের পর ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে বা যার স্ত্রী মারা গিয়েছেন। আবার অনেক পুরুষ বিবাহিত জীবনে খুবই সুখী।
সমীক্ষার তথ্যমতে, যেসব পুরুষ ২৫ বছর বয়সে বিয়ে করেন তারাই নাকি বেশি সুরক্ষিত। অন্যদিকে যারা এর চেয়েও কম বয়সে বিয়ে করেন, তাদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হয়।
আর অবিবাহিত পুরুষের থেকে বেশি সুখী বিবাহিত পুরুষরা। বেশিদিন বাঁচেন ও সুস্থ থাকেন তারা। সমীক্ষার তথ্য আরও জানাচ্ছে, যেসব পুরুষের শারীরিক সমস্যা আছে তারাও আগে বিয়ে করেন।
তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের ঝুঁকিও কম থাকে। জাপানের একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, বিবাহিত পুরুষদের চেয়ে অবিবাহিত পুরুষের হৃদরোগের ঝুঁকি ৩ গুণ বেশি থাকে। অন্যদিকে বিবাহিত পুরুষের ডিপ্রেশনের ঝুঁকি কম থাকে সিঙ্গেলদের তুলনায়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।